ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নতুন উদ্ভাবন
থেমে নেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষে অবস্থানকারী ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের
শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবন প্রক্রিয়া। এবার তারা সহজলভ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পক্ষাঘাতগ্রস্ত ও প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য হোম অটোমেশন ডিভাইস উদ্ভাবন করেছে। এর
মাধ্যমে চোখের পলকের সাহায্যে একজন রোগী খুব সহজেই বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম
নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন এমন কি জরুরি সেবার জন্য সেবকের সাহায্য ও চাইতে
পারবেন। প্রয়োজন অনুসারে এক বা একাধিক বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন।
ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. অমিতাভ চক্রবর্তীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের একটি তরুণ গবেষক দল এই হোম অটোমেশন প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন। উদ্যোক্তারা হলেন রানা কায়সার বিভু, দ্বীপ বোস, তানভীর মাহমুদ শোভন। তারা জানিয়েছেন স্নাতকোত্তর থিসিসের অংশ হিসেবে "হোম অটোমেশন উইথ আই ব্লিঙ্ক ফর প্যারালাইসিস পেশেন্ট" নামের এ প্রজেক্টটির কাজ হাতে নিয়েছেন। গবেষক দলের নিরলস পরিশ্রম শেষে পুরো প্রজেক্টটি সফল হয়।
প্রথমবারের মতো এই উদ্ভাবন বাংলাদেশের প্রযু্ক্তির জয়যাত্রায় আরেকটি মাইলফলক বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশ্বে
হোম অটোমেশন ডিভাইস নতুন কোনো প্রযুক্তি না হলেও বাংলাদেশে পক্ষাঘাতগ্রস্ত
ও প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার এই প্রথম। বলে জানালেন প্রজেক্টের সুপার ভাইজার ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. অমিতাভ চক্রবর্তী।
উদ্যোক্তারা মনে করেন, এই ধরনের যন্ত্র বিদেশ থেকে উৎপাদন ও আমদানি অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় বাংলাদেশে তা ব্যাবহার প্রায় অসম্ভব। এমনকি এই সেক্টরে আরও প্রচুর কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
গবেষকরা জানান, 'আমাদের
পরিকল্পনা হলো পক্ষাঘাতগ্রস্ত ও প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য এই প্রযুক্তি কে
আরও সহজলভ্য করে তোলা যেন তাদের মানবেতর জীবন যাপন কিছুটা সহজ হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের এই তরুণ গবেষকরা এই প্রজেক্টের আরও উন্নত সংস্করণের কাজে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান, যার মধ্যে হুইল চেয়ার নিয়ন্ত্রন সহ আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা আছে ।
No comments